জুনাঈদ আকন্দ, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ স্থানীয় প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ! কৈলাটি এফ. ইউ. ফাযিল (স্নাতক) মাদ্রাসা, বারহাট্টা , নেত্রকোনা-এর কৈলাটি-আজমতপুর-গোবিন্দপুরের বুক চিড়ে প্রবাহিত কংস নদীর শাখা নদীটি বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন এবং আসমা ইউনিয়ন কে পৃথক করেছে। চৈত্রের খরতাপে এখন শুকনো নদী। নদী খনন করায় এখন নদী আরও গভীর হয়েছে।

নদীর দক্ষিণ পাড়ের শিক্ষানুরাগী গ্রাম- আজমতপুর, নোওয়াগাঁও, গোবিন্দপুর, ইস্পিঞ্জাপুর, গেরিয়া, জীবনপুর, জয়পুর, চন্দ্রপুর, দুর্গাপুর, অথিতপুরের অভিভাবকগণ অতি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কৈলাটি মাদরাসায় দ্বীনী শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে পরিচালিত- বর্তমানে ৭/৮ বছর যাবত ঈর্শণীয় ফলাফলে অত্র এলাকার অভিভাবকগন তাদের সন্তানদের এই মাদ্রাসায় ভর্তি করছেন।

কিন্তু চৈত্রের এই শুকনো মৌসুমে শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটেই নদী পাড়াপাড়ের সুযোগ থাকলেও বর্ষা মৌসুমে নদী পাড়াপাড়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। কারণ বর্ষা মৌসুমে নদী পাড়াপাড়ে যদিও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব পাড়াপাড়ের ব্যবস্থা আছে কিন্তু খরস্রোতা এই নদীতে প্রায়ই নৌকা ডুবির আশঙ্কা থাকে; এবার নদী খননে হয়ত আরও বেশি খরস্রোতা হবে।

এমতাবস্থায় বিশেষকরে প্রাথমিক পর্যায়ের শিশু শিক্ষার্থীসহ উপরের শ্রেণির বোরকা পরিহিতা মেয়েদের জন্য অভিভাবকগণ আতঙ্কগ্রস্থ থাকেন। যে কারণে ছেলে-মেয়েরা বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে আসতে ভয় পায়। এমতাবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রশস্ত ব্রীজ নয় অন্ততপক্ষে পায়ে হাঁটার ফুট ব্রীজ দিয়ে হলেও উক্ত এলাকার অভিভাবকদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে যেন তাঁদের সন্তানদের নিশ্চিত মনে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদানে উপস্থিত থাকতে পারে এতটুকু নিশ্চয়তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয় ১৯৫৩ সালে।

 

 

কলমকথা/ বিথী